অনলাইন ডেস্কঃ
উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বয়সের বাধা ও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করা অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বলেন, শিক্ষা ও দক্ষতাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা বলা হলেও কিছু প্রতিষ্ঠান উল্টো পথে হাঁটছে, যা সঠিক নয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। সারা বিশ্ব যখন সুযোগ অবারিত করার কথা বলছে সবকিছুতে, যখন জীবনব্যাপী শিক্ষার কথা বলা হচ্ছে, তখন সব জায়গায় দেয়াল তোলা হচ্ছে কেন? কেন বলা হচ্ছে, এই বয়সের পর আর ভর্তি হতে পারবে না? কেন বলা হচ্ছে, একবারের পর আর ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না? কেন বলা হচ্ছে, এ ধরনের পড়ার পর আর ওই ধরনের পড়ায় যেতে পারবে না? এটি বোধগম্য নয়। আজকে কেউ আইন নিয়ে পড়ছেন, তিনি কেন কাল ইঞ্জিনিয়ার বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন না? যেকোনো শিক্ষায় যাওয়ার সুযোগটি অবারিত হতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের মাধ্যমে আমাদের যে গ্রাজুয়েটরা প্রতি বছর বের হচ্ছে সেখানে বাজারমুখি দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই কাউন্সিলের পরামর্শ মেনে কারিকুলামসহ শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করে দক্ষ গ্রাজুয়েট শ্রম বাজারে প্রেরণ করবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল আলম চৌধুরী বলেন, এই কাউন্সিলের মাধ্যমে আমাদের গ্রাজুয়েটরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পেল কিনা তা নিশ্চিত করা যাবে।
বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৭-এর অধীনে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কাউন্সিলের মূল দায়িত্ব হলো দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা, শিক্ষা কার্যক্রম যাচাই করে স্বীকৃতি দেয়া। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি বিভাগ, কোর্স বা প্রোগ্রামের (ডিসিপ্লিন) জন্য পৃথক কমিটি গঠন করে এ সম্পর্কে যাচাই করবে কাউন্সিল। এরপর ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘অ্যাক্রিডিটেশন ও কনফিডেন্স’ সনদ দেয়া হবে। এই কাউন্সিল যৌক্তিক কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা এর অধীন কোনো ডিগ্রি প্রোগ্রামের ‘অ্যাক্রিডিটেশন ও কনফিডেন্স’ সনদ বাতিলও করবে।